টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :: টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শালিকা গ্রামে রাগের মাথায় এক যুবক ব্লেড দিয়ে নিজের অন্ডকোষ কেটে খেয়ে ফেলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত বুধবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকের নাম মোঃ রাজীর আহম্মেদ রাজু (২৫)। সে শালিকা গ্রামের মোঃ খায়রুল ইসলামের ছেলে। মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত যুবক রাজীব এক সন্তানের জনক।
স্থানীয়রা জানান, রাজীব বেশ কিছুদিন আগে থেকে মাসদকাসক্ত হয়ে পড়েন। পরে অভিভাবকরা তাকে ময়মনসিংহ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রেখে আসেন। দুই বছর পর সেখান থেকে ফিরে পুনরায় মাদক সেবন শুরু করেন রাজীব।
গত মঙ্গলবার ঈদের আগের দিন রাজীব নিজ গ্রামের পাশের এক বাড়িতে একটি পাঠা ছাগলের বাচ্চাকে খোজা করাতে দেখেন। স্থানীয় একজনকে সেই ছাগলের অন্ডকোষ কেটে কাঁচা অবস্থায় খেয়ে ফেলতে দেখেন। ছাগলের অন্ডকোষ খাদক সেই যুবক রাজীবকে জানায়, অন্ডকোষ খেলে নাকি শরীরে ‘অন্যরকম শক্তি’ হয়।
পরে বুধবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় দোকান থেকে ব্লেড কিনে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে নিজেই নিজের অন্ডকোষ কেটে একটি কোষ খেয়ে ফেলেন রাজীব। পরে ঘরের দরজার নিচ দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসলে পরিবারের লোকজন ঘরে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে রাজীবকে উদ্ধার করে প্রথমে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
রাজীবের চাচা মোঃ নূরুজ্জামান জানান, রাজীব অন্ডকোষ কেটে খায়নি। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কেটে ফেলেছিল। ময়মনসিংহ থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। সে এখন সুস্থ্য আছে।
স্থানীয় মহিষমারা ইউপি সদস্য মোঃ লাল মিয়া জানান, অনেকদিন ধরে রাজীব মাদকাসক্ত। ইতোপূর্বে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সে তার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেছিল। সেই ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ আমরা শালিস করেছি। শুনেছি এবার সে নিজের অন্ডকোষ কেটে খেয়ে ফেলেছে।